মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ, ১৪৩১
মাদারীপুর প্রতিনিধি।।
মাদারীপুরে জমি লিখে না দেওয়ায় বৃদ্ধা মাকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্য ছেলের বিরুদ্ধে। পরে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই ভুক্তভোগী মা। এদিকে মায়ের পক্ষে কথা বলায় আরেক ভাইয়ের উপর হামলা চালায় ওই ইউপি সদস্য ও তার ছেলে। ভুক্তভোগী ওই মায়ের নাম আলফাতুন নেছা (৭০)। তিনি সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের মধ্যচক এলাকার মৃত রশিদ মালতের স্ত্রী।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে খোয়াজপুর ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দবির মালত তার মা আলফাতুন নেছার সম্পত্তি নিজ নামে লিখে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। আলফাতুন নেছা ওই সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় শনিবার (১৭ জুন) সকালে তার মেজো ছেলে দবির মালত, ছেলের স্ত্রী নাজমা আক্তার তার নাতি নাজমুল মালত ঘরে ঢুকে তার উপর কোদাল ও বেলচা দিয়ে মারধর ও নির্যাতন চালায়। এসময় তার ডাক চিৎকারে সেজো ছেলে মাসুদ মালত এগিয়ে আসলে তার উপরও হামলা চালায় তারা। পরে মা ও ছেলের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় দবির মালত, তার স্ত্রী এবং ছেলে। পরে আলফাতুন নেছাকে আহত অবস্থায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তিনি ছেলে দবির মালতের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে মায়ের অভিযোগে পত্রে সেজো ছেলে মাসুদ মালত সাক্ষী হওয়ায় রবিবার রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেয়ার পথে হামলা চালায় দবির মালতের ছেলে নাজমুল মালত ও তার দলবল।
ভুক্তভোগী আলফাতুন নেছা বলেন,’আমার নিজ নামে কিছু সম্পত্তি রয়েছে। সেই সম্পত্তিটুকু আমার মেজো ছেলে দবির ও তার স্ত্রী জোর করে লিখে নিতে চায়। আমি না দেয়ায় আমার ঘরে ঢুকে হামলা চালায় তারা। আমি এর বিচার চাই।’
আলফাতুন নেছার সেজো ছেলে মাসুদ মালত বলেন,’আমার ভাই ইউপি সদস্য হওয়ায় অনেক ক্ষমতা দেখায়। আমার মায়ের উপর হামলা চালালে আমি গিয়ে তাদের বাঁধা দিলে আমাকেও মারধর করে তারা। এ ঘটনায় মা তার অভিযোগপত্রের সাক্ষীতে আমার নাম দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আবারো তার ছেলে নাজমুল , সিফাত তার দলবল দিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। এসময় আমার কাছে থাকা এক লাখ টাকা নিয়ে য়ায় নাজমুল আমি আইনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ দিকে হামলার কথা অস্বীকার করেছেন ইউপি সদস্য দবির মালত। তিনি বলেন,’এসব বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে মা, ভাইয়েরা ও বোনেরা একজোট হয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমার ছেলে নাজমুল নিজ যোগ্যতায় সরকারি চাকুরি পেয়েছে যা ওদের সহ্য হচ্ছে না। তাই এই মিথ্যা অভিযোগগুলো করছে।’
অভিযোগের বিষয়ে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন,’মা ও ভাইকে নির্যাতনের আলাদা দু’টি লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’